জঙ্গলমহলের লক্ষ্মীদের চালে তিরুপতির দেবসেবা

1624582718_rice

জঙ্গলমহলের মহিলা চাষিদের উৎপাদিত সুগন্ধী দেশি ধানের ‘মল্লিফুলো’ চাল গেল অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে। ঝাড়গ্রাম জেলা কৃষি দফতরের সহযোগিতায় নয়াগ্রাম ব্লকের মহিলা চাষিদের সংস্থা ‘আমন মহিলা চাষি প্রোডিউসার কোম্পানি’র কাছ থেকে দেবসেবার জন্য সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা ওই ধানের চাল কিনেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

তিরুপতি মন্দিরে ভোগের জন্য গোবর সার ব্যবহার করে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা সুগন্ধি আতপচাল ব্যবহারের প্রথা বহুদিনের। শ্রীভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে চাল সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছেন বিভিন্ন দাতা। দাতাদের একাংশ চাষিদের থেকে চাল কিনে মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’ (টিটিডি) ট্রাস্টে জমা দেন। তার আগে খতিয়ে দেখা হয় সত্যিই গোবর সার ব্যবহার করে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ধান চাষ হয়েছে কি না।

জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) অনুপম পাল বলেন, ‘‘টিটিডি ট্রাস্টের এক প্রতিনিধির সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে তাঁকে নয়াগ্রামের মহিলাদের উৎপাদিত দেশি চালের কথা জানিয়েছিলাম। মন্দির কর্তৃপক্ষ আগ্রহী হয়ে ‘প্রদান’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩ টন চালের বরাত দেন।’’ টিটিডি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কে শিবকুমারের কথায়, ‘‘আগে বালাজির নৈবেদ্য ও প্রসাদের জন্য গোবর সারে চাষ হওয়া দেশি চাল, ডাল ও অন্য খাদ্যসামগ্রী ব্যবহার করা হত। কিন্তু এমন খাদ্যসামগ্রী পেতে সমস্যা হওয়ায় মাঝে প্রথা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। ট্রাস্টি বোর্ড এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বালাজির নৈবেদ্য-ভোগে জৈব চাষের(কাউ বেসড এগ্রিকালচার) দেশি চাল, ডাল ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হবে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় এই ধরনের চাষ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলা থেকেও দেশি চাল নেওয়া শুরু হয়েছে।’’

Source: Ananda Bazar